সোমবার (১৫ আগস্ট) প্রথম প্রহরে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি ও
সিকৃবি ছাত্রলীগ কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন
করা হয়। এরপর সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোক র্যালীতে অংশগ্রহণ
করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল
উদ্দীন ভূঞা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, ডিন কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক শিক্ষক
পরিষদ, গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ
পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর, অনুষদীয়
ছাত্রসমিতি, আবাসিক হলসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি
এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে
শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পুষ্পস্তবক
অর্পণ শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদ উদ্দীন
মাহফুজের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, “১৫ই
আগস্ট আমাদের জন্য শোকের দিন হলেও এটাই আমাদের জন্য এখন শক্তি। সেদিন
ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু তথা বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিবকে নির্মমভাবে হত্যা করলেও তার
চেতনাকে হত্যা করতে পারেনি। এই ১৫ই আগস্ট আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়
দেশপ্রেম মরে যায় নাই। পঁচাত্তরের পরে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা নিষেধ
ছিল, কিন্তু আজকে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদযাপিত সংখ্যা অনেক এবং এই
চেতনাকে ধারণ করেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি, তার
হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও আমরা সক্ষম হবো। এজন্য আমাদের সকলের উচিত
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত
করা।“
বিশ্ববিদ্যালয়ের
জাতীয় দিবস উৎযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন,
"বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলীসহ সকল
কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সরব উপস্তিতিই স্মরণ করিয়ে দেয় আজকের দিনটি আমাদের
জন্য কতোটা বেদনার, কতোটা শোকের। তবে এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমাদের
ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। আমরা জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের
উন্নয়নে সর্বাত্মক এগিয়ে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায় ২০৪১ সালের আগেই আমরা
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে সক্ষম হবো।"
এরপর
শিক্ষক সমিতি ও পাঠশালা একুশ কর্তৃক 'হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু' শিরোনামে শিশুদের
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ কর্তৃক বৃক্ষরোপন এবং
দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ
সদস্যদের জন্য মসজিদে মোনাজাত ও মন্দিরে প্রার্থনা সম্পন্ন হয়। এছাড়া
মসজিদে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপর বিকালে জাতীয় দিবস
উদযাপন কমিটির আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন এবং
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
রেজিস্ট্রার
বদরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা ৭.১৫ টায়
বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি কর্তৃক আলোক প্রজ্জলন কর্মসূচী
এবং ৭.৩০ টায় কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ কর্তৃক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক এতিম ও
দুঃস্থদের মাঝে খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।