News
যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে বিজয় র্যালির মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসন ভবনের সামনে হতে র্যালিটি বের হয়। র্যালিটির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। র্যালিটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। এরপর ১৯৭১ সালে নিহত ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মচারী পরিষদ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. আবদুল বাসেত পুরো অনুষ্ঠনটি পরিচালনা করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তব্য প্রদান করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দুঃখের, যন্ত্রণার, গৌরবের ও আনন্দের। এবারের বিজয় দিবস আমাদের জন্য সামনে চলার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা হয়ে উঠুক। মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঐক্যকে ধারণ করে আমরা আমাদের প্রিয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান, মনীষা, শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করে একে জাতীয় আশা আকাঙ্খার প্রতীক হিসেবে আধুনিক কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগীরূপে গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই।” বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ এই মহামারীর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ আয়োজন করে দেশ গড়ার শপথ অনুষ্ঠান- অটুট প্রত্যয়। দেশগান ও দেশের কবিতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হলেও বিকাল চারটায় সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে দেশ গড়ার দৃঢ় শপথ নেয়। বিকাল সাড়ে চারটায় জাতীয় সংগীত গায় কৃষ্ণচূড়া সংগঠনের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।